পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। তিস্তা পারের মানুষ যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ভাঙনের শিকার না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। গতকাল সকালে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার রেলব্রিজ সংলগ্ন পাঞ্জরভাঙার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনার অগ্রগতি এবং তীরবর্তী মানুষের জীবনমান ও ঝুঁকির অবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প।
পূর্ববর্তী সময়ে এই প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত যথাযথভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা এবং ঘড়িয়ালডাঙ্গা খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (দ্বিতলা ভবন) সংলগ্ন তিস্তা নদীর চলমান কাজ পরিদর্শন, তিস্তার বাঁ তীর দাড়িয়ালপুল এলাকার পরিদর্শন ও রংপুর নগরীর শ্যামাসুন্দরী খাল পরিদর্শন করেন। দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জুলাই শহীদ দিবস ও আবু সাঈদ দিবস এবং শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।