রাজধানীর সূত্রাপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পরিবারের কর্তা রিপন পেয়াদা (৩৫)। এর আগে, তার সন্তান আয়েশা (১), রোকন পেয়াদা (১৪) ও তামিম পেয়াদা (১৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আর স্ত্রী চাঁদনী বেগমকে (২৮) গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে নেওয়ার পথে মারা যান।
গত ১০ জুলাই রাতে সূত্রাপুর থানার কাগজিটোলার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই পরিবারের ঘুমন্ত পাঁচ সদস্যের সবাই দগ্ধ হন।
নিহত রিপনের মামা জাকির হোসেন জানান, তার ভাগ্নে পেশায় ভ্যানচালক। নিচতলার একটি কক্ষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতেন। পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ঘরে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে কক্ষের সবকিছু পুড়ে যায়। দগ্ধদের মধ্যে রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ, তামিমের ৪২, রোকনের ৬০ ও আয়েশার ৬৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।