খুলনার ডুমুরিয়ার মোস্তর মোড় সিটি বাইপাস এলাকায় সুরাইয়া অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে এলপি গ্যাসের ‘অবৈধ ক্রস ফিলিং’ করা হয়। রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস ভরে বাজারজাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সঙ্গে কম ওজনের গ্যাস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
গতকাল অবৈধভাবে গ্যাস ফিলিং করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলপিজি সিলিন্ডার বাজারজাত করার সময় ৬৮টি সিলিন্ডারসহ একটি মিনি পিকআপ আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি থেকে অসংখ্য খালি সিলিন্ডার, বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির রিফিল স্টিকার ও গ্যাস ফিলিং করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধভাবে ফিলিং করার অভিযোগে সুরাইয়া অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের মালিক রেজাউল গাজীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিং স্টেশনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বিস্ফোরক অধিদপ্তর ফিলিং স্টেশনটি সিলগালা করে দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডুমুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘যানবাহনের গ্যাস অবৈধভাবে সিলিন্ডারে ফিলিং করা হচ্ছে। ৬৮টি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিকে একবার জরিমানা করা হয়েছিল। একই কাজ করায় এবার তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’
সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. ওবায়েদ উল্লাহ জানান, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই ফিলিং স্টেশনটি চালানো হচ্ছিল। একই সঙ্গে এলপিজি সিলিন্ডারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহনের গ্যাস ফিলিং করা হচ্ছে। এ কারণে ফিলিং স্টেশনটি সিলগালা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটো গ্যাস পাম্পে এ ধরনের ফিলিং প্রক্রিয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ। ভোক্তাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যক্তিরা এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মকাে জড়িয়ে পড়ছেন।