বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বদলি আর পদায়নের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। প্রধান কার্যালয়ে ১০ থেকে ২০ বছর ধরে চাকরি করলেও অনেকের বদলি হচ্ছে না। যারা সম্প্রতি বদলি হয়েছেন, তারা আবার ফিরেছেন প্রধান কার্যালয়ে। বিএমডিএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রধান কার্যালয়ে আছেন, তাদের অন্যত্র বদলি ও দূরদূরান্তে যারা দীর্ঘদিন আছেন, তাদের নিয়ে আসার জন্য বোর্ড সদস্যরা বললেও নির্বাহী পরিচালক তা করেননি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। গত ২২ অক্টোবর নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম জানিয়েছিলেন, বদলি নিয়মিত অফিশিয়াল কাজের অংশ। যারা দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরি করছেন, কাজের গতি ফেরাতে তাদের বদলি করা হয়েছে। তবে গত এক মাসে আবারও ওইসব কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বদলিতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় আছেন, তালিকা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সেগুলো বদলি করা হচ্ছে।
বিএমডিএর প্রশাসনিক শাখা সূত্র জানায়, ৮ এপ্রিলের অফিস আদেশে নওগাঁ রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান, বদলির তিন মাসের মধ্যে আবারও প্রধান কার্যালয়ে, লালমনিরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম নওগাঁ রিজিয়ন-১ এ চলে আসেন। মনিরুজ্জামান মনির, শফিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন বদলির ৫ মাসের মধ্যে ৪ জুনের অফিস আদেশে আবারও পছন্দের জায়গায় ফিরে আসেন।
১৩ ও ২৭ অক্টোবর আলাদা দুটি অফিস আদেশে নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, মাহাফুজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম অন্যত্র বদলি হলেও দুই মাসের মাথায় আবারও ফিরেছেন প্রধান কার্যালয়ে।
এদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা লায়লা বানু প্রধান কার্যালয়ে আছেন ২৪ বছর। চালক ফারুক হোসেন ৩৫ বছর, ফিরোজ ২০ বছর, ক্যাশিয়ার রাকিবুল ২০ বছর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাদেরি কিবরিয়া ১৭ বছর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জোহা হক ২০ বছর, ট্রাক সহকারী শফিকুল ইসলাম ১৫ বছর, নির্বাহী পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল ইসলাম ৩০ বছর ধরে প্রধান কার্যালয়ে আছেন।