তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটা আশার সঞ্চার হয়েছে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি টিকে থাকবে এবং সারা দুনিয়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তোমরা অনেকেই জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছ। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ অনেকেই হয়তো তোমাদের পরিচিত। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নের পথে হাঁটার জন্য আমরা এই আয়োজনটা (নতুন কুঁড়ি) করেছি। তোমরা একদিন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খ্যাতি অর্জন করবে।
গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অডিটোরিয়ামে ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০ বছর পর নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত জুলাই মাসে এই প্রতিযোগিতা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আশাকরি আগামী সরকারও নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুশিল্পীরা শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনে একদিন নেতৃত্ব দেবে। এই শিশুশিল্পীরা বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে । সভাপতির বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও আন্তরিক পদক্ষেপের কারণে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ প্রতিযোগিতায় ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগের প্রতি বিষয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ৭৩ জন শিশুশিল্পী পুরস্কৃত হয়।