করোনাভাইরাস আতংকের কারণে টানা পাচঁদিন পরেই দেশে ফেরত যাচ্ছেন সেই চীনা ১৭ নাবিক। পাচঁদিন পরেই চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় জাহাজ থেকে নামার সুযোগ পেলেন সেই চীনা নাবিকরা। বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে তিনটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা থেকে রাতের কোন একটি ফ্লাইটে থাইল্যন্ডের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হয়ে সড়কপথে নিজ দেশ চীনে যাবেন।
এর আগে করোনাভাইরাস বিষয়ে চীনা নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা এসব চীনা নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে তাদের মধ্যে কারো করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। তাই তাদের জাহাজ ছাড়ার বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
জানা যায়, গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কদমরসুল এলাকায় জাহাজ ভাঙার পুরোনো কারখানায় আমদানি করা একটি জাহাজে অবস্থান করছিলেন তারা। মো. আবুল হাশেম আবদুল্লাহ ও মো. লিয়াকত আলীর যৌথ মালিকানাধীন লালবেগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে শনিবার চীনের একটি সমুদ্র বন্দর থেকে জাপানের পতাকাবাহী নয় হাজার টন ওজনের ইউনি হারভেস্ট কার্গো নামক এই জাহাজ আমদানি করা হয়। এতে চীনের ১৭ জন নাবিক ছাড়াও অন্যান্য দেশের আরও নাবিক ছিলেন। তারা ওই দিন জাহাজ ছেড়ে নিজ নিজ দেশের উদ্দেশ্যে চলে যেতে পারলেও নামতে দেয়া হয়নি চীনা নাবিকদের।
লালবাগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম আবদুল্লাহ বলেন, চীনের ১৭ নাবিক পাঁচদিন ধরে আমাদের জাহাজে ছিল, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া না যাওয়ায় তাদের এজেন্সির মাধ্যমে বিমানের টিকেট দিয়ে নিজ দেশে পাঠানো হয়।
জাহাজটির আমদানিকারক লিয়াকত আলী বিভিন্ন সাংবাদিকদের বলেন, চীন থেকে জাহাজটি কাটার জন্য আনার পর যথা নিয়মে ইয়ার্ডে সৈকতায়ন করা হয়। পরে জাহাজ থেকে অন্যান্য দেশের নাবিকরা নেমে গেলেও ১৭ চীনা নাবিক এতে আটকা পড়েন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার