চীনে মহামারি রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কেননা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাস মহামারি রূপ ধারণ করায় বাণিজ্যিক সম্পর্কে এর প্রভাব পড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। তারপরও আমরা সব দিকে লক্ষ্য রাখছি। করোনাভাইরাসের কী পরিমাণ চাপ আসতে পারে। সেটা নিয়ে একটা আলোচনা হচ্ছে। এর প্রভাব গার্মেন্ট সেক্টরে কী পরিমাণ... সে ব্যাপারে খুব সম্ভবত ১৬ তারিখে একটা রিপোর্ট পাব। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখছি ফ্যাক্টরিগুলোর সাপ্লাইয়ের দিকে। চায়নাতে হলিডে শেষ হলো। আজ খবর পেলাম চায়নার মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করেছে। আমরা সেটা অবজার্ভ করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-ইফসি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান তিনি।
চীন থেকে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, বিজিএমই'র এমন শঙ্কা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটি গভীর সমস্যা, হঠাৎ করে এ বিষয়ে বলা মুশকিল। রেডিমেড গার্মেন্টের সেক্টরের সাপ্লাইটা হঠাৎ করে কোথায় সোর্সিং করবো!
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, বিকল্প বাজার পেয়ে যাব, যদিও সেজন্য সময় দরকার। যে কাঁচামাল আনতে হয় সেটি অন্য কোথাও থেকে পেতে হলে তো সময় দিতে হবে।
বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে চীন কাজ করছে, এক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব চীনা নাগরিক বাংলাদেশে আসছে আমরা তাদেরকে দেখছি, তাদেরকে ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যারা এসেছেন তাদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন