ইতালির নেপলেস শহরে গত শনিবার মারা যান ৪০ বছর বয়সী থেরেসা ফ্রান্জাসে। সপ্তাহখানেক আগে তিনি আক্রান্ত হন। ইতালির এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তার বোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর অন্তত ৩৬ ঘণ্টা বাড়িতেই দেহ পড়ে ছিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থেরেসার মরদেহ ওই বাড়িতে তার ভাই, বাবা-মা এবং অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে পড়ে ছিল ৩৬ ঘণ্টার মতো।
ওই নারীর ভাই লুসা বলেন, রাতের বেলা আমার বোন মারা গেছে, সম্ভবত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। গত রাত পর্যন্ত আমি দেহ সৎকারের অপেক্ষায় ছিলাম। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের পর বোন মারা যাওয়ার পর লুসা আক্রান্ত হন।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের সবাইকে আমি করোনা পরীক্ষার কথা বলেছি। আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি, আমাদের সব হারিয়ে গেল।
লুসা এ ব্যাপারে একটি ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একটি সংস্থা ওই দেহ সংগ্রহের আগ্রহ দেখায়। আপ্রিয়া ফিনারেল হোমের কর্মকর্তারা বলছেন, এটা একেবারেই বিভৎস একটা ব্যাপার। আমরা মাস্ক, সুরক্ষিত জুতা, স্যুট, গ্লোভসসহ অন্যান্য জিনিস পরিহিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছি।
স্থানীয় মেয়র সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। আমরা এখনো জানি না এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। তবে কারো উচিত তাদের সাহায্য করা।
এদিকে আজ বুধবার পর্যন্ত ইতালিতে ছয়শ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে এবং ১০ হাজার একশ ৪৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত