চীনের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আজ সোমবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩, ৩৫,০০০। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪১ জনের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা হিসাব করলে ইতালি, চীন এবং স্পেনের পরেই ইরানের অবস্থান। এ অবস্থা মোকাবেলায় ইরান সরকার এবং ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে।
ইরানিদের অন্যতম উৎসব ফার্সি নববর্ষ বা নওরোজের দিনে সরকারি ছুটি চলার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে অনেক আগে থেকেই ছুটি চলছে। ভ্রমণ ঠেকাতে ইরান সরকার ভ্রমণের শহরগুলোকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হবার দুইদিনের মধ্যেই জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাস নিয়ে দিক-নির্দেশনা এবং প্রটোকল ঘোষণা করে। নগদ টাকার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে সেজন্য ইরানের ব্যাংকগুলোতে নগদ লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর বাইরে দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে একে একে ব্যাংকগুলোতে প্রবেশ করে নিজেদের কাজগুলো সম্পন্ন করছেন। কাউন্টারে দায়িত্বরত সবাই মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস নিয়ে কাজ করছেন।
অন্যদিকে শহরের বাস এবং দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে। যাত্রাপথে ট্যাক্সি চালকদের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ ভাড়া না নিয়ে অনলাইনে ভাড়া পরিশোধের জন্য বলা হচ্ছে। কিছু শহরে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চিকিৎসা দেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং নার্সদের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সরঞ্জাম প্রদান করার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে মেডিকেলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ফার্সি নববর্ষের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যারা গ্রে জোনে কাজ করছেন তাদের জন্য স্পেশাল কিছু সুবিধা এবং আর্থিক বোনাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইরানের সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রদেশে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করছে।
বিডি প্রতিদিন/ওয়াসিফ