চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইউরোপজুড়ে। বর্তমানে ইউরোপ হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্র।
ইউরোপে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ইতালির, এরপরই স্পেন। ফ্রান্স পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাজ্যেও বিরাজ করছে ভয়াবহ অবস্থা। এরই মধ্যে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৫৮ জনে। মারা গেছেন ৫৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২৯ জন, প্রাণ হারিয়েছেন ১১৫ জন। সে হিসেবে, যুক্তরাজ্যে প্রতি ১৩ মিনিটে একজন মারা যাচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ছয় মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সব না হলেও বর্তমানে চলমান অনেক নিষেধাজ্ঞাই দীর্ঘদিন বলবৎ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বিবিসি রেডিও ৪-এর এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. জেনি হ্যারিস। তার মতে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই দেশটিতে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। এরপর থেকেই তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং গ্রীষ্মকাল শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
দেশজুড়ে বর্তমান কড়াকড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না এসব ব্যবস্থা এত তাড়াতাড়ি তুলে নেয়া হোক। এতে হঠাৎ করেই সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, যাতে আমাদের সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে।’ ডা. জেনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে অন্তত ছয় মাসের মতো হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখের কোটা পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৫৪ হাজার। ফলে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৩৬০ জন। গতকাল এটি ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৯ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি। এতে মারা গেছেন অন্তত ২৩ হাজার ৫৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। সূত্র: ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/কালাম