শিরোনাম
২৭ মার্চ, ২০২০ ১৪:১৭

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ যে ৫টি পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ যে ৫টি পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস

বিশ্বব্যাপী মহাবিপর্যয় নামিয়ে এনেছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপে বিচ্ছিন্ন ও ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসী।

এই বিষাক্ত ছোবল থেকে বাঁচতে এবং অন্যকে বাঁচাতে সচেতনতার সঙ্গে নিজেকে আলাদা ও বিচ্ছিন্ন করে রাখছে অধিকাংশ মানুষ। 

কিন্তু তারপরও থেমে নেই এই ভাইরাসের দাপট। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। চীনে তাণ্ডব চালিয়ে বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে করোনাভাইরাস।

এমতাবস্থায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস। এক্ষেত্রে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে বলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি ৫টি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হল:-

১. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্যবান হওয়া। এটা আপনাকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সহাসয়তা করবে। এ জন্য সুষম পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এতে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে কাজ করবে।

২. পানীয় গ্রহণ বর্জন করা

যেকোনও ধরনের পানীয় গ্রহণে নিজেকে দায়িত্ববান হতে হবে। সেই সঙ্গে মদ বা সুরা পান ও চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

৩. ধুমপান থেকে বিরত থাকুন

ধুমপান বিভিন্ন ধরনের কঠিন ও জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনি ধুমপান করলে করোনাভাইরাস আপনার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. ব্যায়াম করুন

নিজেকে সুস্বাস্থ্যবান রাখতে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ও শিশুর জন্য কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করা জরুরি।
এক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে বাইরে গিয়ে  দৌঁড়ান কিংবা সাইকেল চালান। তবে অবশ্যই অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন।

আর বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করার সুযোগ না থাকলে বাসায় অনলাইনে বসে কিছু ব্যায়ামের ভিডিও দেখুন। সেই অনুপাতে নাচ, যোগ ব্যায়াম করুন অথবা সিড়িতে দিয়ে ওঠানামা করুন।

এছাড়া, আপনি বাড়িতে বসে কাজ করলে মনে রাখবেন একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না। এক্ষেত্রে প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ৩ মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়াবেন এবং বিরতি নেবেন।

৫. মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া

যেকোনও সঙ্কটের সময় চাপ, হতাশা ও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে আপনার আপনজনের সঙ্গে বিষয়টি ভাগাভাগি করুন এবং বিশ্বাস রাখুন তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। আপনার কমিউনিটির অন্যদের পাশে দাঁড়ান ও তাদের সমর্থন দিন। আপনি তাদের পাশে যতটা থাকবেন, প্রয়োজনে তারাও আপনার জন্য ততটাই এগিয়ে আসবেন।

পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। মনে রাখবেন, সমবেদনা এক ধরনের ওষুধ। সঙ্গীত শুনুন, বই পড়ুন, খেলাধুলা করুন। বিভিন্ন তথ্য জানার সময় অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানবেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে এটি আমাদেরকে বিশেষ কিছু দিয়েছেও। তা হচ্ছে, বিশ্ববাসীকে একত্র হওয়া, এক সঙ্গে কাজ করা, এক সঙ্গে শেখা এবং এক সঙ্গে চলার ও বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

সর্বশেষ খবর