করোনাভাইরাস থেকে সন্তানকে বাঁচাতে যে মা প্রাণপনে লড়ছিলেন সে মাকেই কেড়ে নিল করোনা। পাঁচ দিন ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক লিন্ডা টোপেন। সবার ভালোবাসা আর শোকের মালা গলায় নিয়ে চির নিদ্রায় সমাহিত হলেন।
দুই সন্তান রব ও জেমসকে নিয়ে ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টারে বসবাস করতেন ৬৬ বছর বয়সী লিন্ডা। করোনার হানায় সুন্দর পুরিবারটি এখন বিপর্যস্ত। কি হয়েছিল?
বড় সন্তান ২৮ বছর বয়সী রব বলেন, কিছুদিন আগে ক্রাকো শহর থেকে বাসায় আসার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিছুটা আন্দাজ করি আমি করোনায় আক্রান্ত। এ অসুস্থতার সময় মা আমার দেখাশুনা করছিলেন। মা অবশ্য মুখে মাস্ক পরেই আমার সেবা করছিলেন কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। দুইদিন পর মা ই অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
গত ৩০ মার্চ লিন্ডা বলছিলেন তার বুকে ব্যথা করছে। যা পরবর্তীতে তার সাইনাসে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দুইদিন তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রব মাকে বাঁচাতে ১১১ এ ফোন দিয়ে ডাক্তার আনলেন। কিন্তু লিন্ডা আর কারো সঙ্গেই কথা বলতে চাইলেন না, শুধু ঘুমাতে চেয়েছেন। যে ঘুম আর ভাঙ্গেনি। রব বলেন, আমি আতঙ্কিত হয়ে মম.. মম.. ডাকছিলাম, কিন্ত তিনি আর সাড়া দিলেন না। ২০০৮ সালে বাবাকে হারিয়েছিলাম, তাই মা ই ছিলো আমাদের সব।
লিন্ডার ছোট সন্তান ২৩ বছরের জেমসও গত রবিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জেমস বলেন, মা ই আমাদের দুইভাইকে দেখাশুনা করতেন, এখন কি হবে জানিনা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত