বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর রূপ নেয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশেও ক্রমেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই সংক্রামক রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে কারাগারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। কারাগারে কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাব বন্দী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ফলে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) কারা অধিদফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলিতভাবে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস প্রকোপের মুখে সারাদেশে ৬৮টি কারাগারের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। পাশাপাশি, কারাগারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে এ জাতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণের প্রথম ব্যাচ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে আইসিআরসির ডিটেনশন টিম লিডার সিমোনা চারভি বলেন, আমাদের নির্দেশিকা এবং বাংলাদেশের কোভিড-১৯ নিয়ে জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষকে নানা সুপারিশ দিচ্ছি; যেন করোনাভাইরাস সংক্রমণে তারা তাদের প্রস্তুতিকে আরও উন্নত করতে পারে। পাশাপাশি সরাসরি সহযোগিতা দিচ্ছি যেন এ সংক্রমণ প্রতিরোধে একটা সার্বিক প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা থাকে।
কারাগারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা দেয়া ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সচেতনতার কমপ্লায়ান্স নিশ্চিত এবং প্রয়োগ করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) স্বেচ্ছাসেবীরা কারাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত হবে। পরবর্তীতে নতুন প্রশিক্ষিত কর্মীরা অন্যান্য কর্মচারী, বন্দী এবং দর্শনার্থীদের কাছে তথ্যগুলো জানাবেন।
আশা করা হচ্ছে যে, প্রতিটি কারাগার স্বতন্ত্রভাবেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা কারাগারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে আইসিআরসি’র সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা ভবিষ্যতেও কারাগারে বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে আইসিআরসি’র অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম