নেত্রকোনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও বাড়েনি সচেতনতা। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই নারায়ণগঞ্জসহ গাজীপুর এবং নরসিংদী থেকে আগত। এদের বেশিরভাগই শ্রমিক।
গত প্রায় ১০ দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তাদের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই স্থানীয় কয়েকজন আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সিভিল সার্জনসহ স্থানীয়রা।
গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলায় মোট ৩০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানোর পর এ পর্যন্ত যাদের পজেটিভ এসেছে প্রত্যেকেই জেলার বাইরে থেকে আসা। পরবর্তীতে তাদের থেকে আত্মীয়রা সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে নেত্রকোনা সদরের ৪ জন, বারহাট্টা উপজেলায় ৭ জন, খালিয়াজুরিতে ৩ জন, মোহনগঞ্জে ২ জন ও কেন্দুয়ায় একজন। বারহাট্টার প্রত্যেকেই ৩ এপ্রিল নারায়গঞ্জ গিয়ে আবার ফেরত আসা। ফলে স্থানীয়রা রয়েছেন আতঙ্কে। কারণ এদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ পরে। এর আগে তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন। মিশেছেন অনেকের সাথে। এসব কিছুর পরেও ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার পুরো শহর ছিল লোকে লোকারণ্য।
শুক্রবার জুমআবার হলেও দিনের বেলা অপরিবর্তিতই।
গত ১৩ এপ্রিল জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করলেও মানছেন না কেউ। তার উপর রয়েছে ধানকাটা শ্রমিকদের আনাগোনা। শহরের বিভিন্ন বাজার খোলা যায়গায় নিয়ে এসেছে জেলা পুলিশ। তারপরও একই চিত্র। পুলিশের এবং প্রশাসনের সকল সচেতনতাই যেনো ভেস্তে গেছে। কঠোর আইন প্রয়োগ না করাকে দাবি করেছন জেলার সিভিল সার্জনসহ স্থানীয়রা।
জেলার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম জানান, প্রথম থেকে যে ছড়ানোটা হয়েছে আমাদের লকডাউনটা সঠিক হয়নি। যার ফলে এই আক্রান্ত বেড়ে গেছে। এইটা ঠিকমতো হলে আজকের এই সংক্রামণটা এইরকম হতো না। প্রথমে প্রত্যেকেই ছিল জেলার বাইরে থেকে আসা। পরে তাদের মাধ্যমে কিছু স্থানীয়রা আক্রান্ত হয়। এখন আর কিছু করার নেই। নিজ উদ্যোগে ঘরে না থাকলে বেড়েই যাবে। তিনি এসময় নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন