কুমিল্লার লাকসামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মসজিদের মুয়াজ্জিনকে নিখোঁজের প্রায় ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাকে আইসলোশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার একটি মসজিদের অস্থায়ী মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনকারী ভোলার জনৈক ব্যক্তির শরীরে গত কয়েকদিন আগে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে খবর পেয়ে চারদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ‘করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম’ নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করে মসজিদটি লকডাউন করে দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে প্রেরিত রিপোর্টে ওই মুয়াজ্জিনের করোনা পজেটিভ আসে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে মসজিদে কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিতে বললেও তিনি দিনের বেলায় কৌশলে বাইরে গিয়ে চলাফেরা করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় আজও তিনি বাইরে থাকায় করোনা রিপোর্ট আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ‘করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম’ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার জন্য হন্যে হন্যে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নিখোঁজের প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাত ৮ দিকে তাকে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাৎক্ষণিক তাকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসলোশনে নেয়া হয়।
বর্তমানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ‘করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম’ এর অন্যতম সদস্য ডা. আবদুল মতিন লাকসামে নতুন একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে তাকে আইসলোশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন