কমে গেলো গাজীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গাজীপুরবাসীদের জন্য এ এক সুসংবাদ বয়ে এনেছে। গত ২১ ও ২২ এপ্রিল তারিখের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একের কোঠায় এসেছে।
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান বলেন, গত দুই দিনে গাজীপুর জেলায় মাত্র ৩ জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। এতে গাজীপুরবাসীর মনে অনেকটা স্বস্তিদায়ক ঘটনা বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনে গাজীপুর সদরে ১ জন, কালিয়াকৈরে ১ জন ও শ্রীপুরে ১ জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। তবে কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জে একজনও করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত ১৮৪০ জনের নমুনা নেয়া হলে মোট ৩২০ জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সদরে ১১০ জন, কাপাসিয়ায় ৭০ জন, কালীগঞ্জে ৮৯ জন, কালিয়াকৈরে ৩০ এবং শ্রীপুরে ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৮ জনের নমুনা ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ওই সূত্র।
গাজীপুরে করোনাভাইরাসটি এ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২ জনের। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একশর মতো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, ৩৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২ জন সংবাদকর্মীও আছেন।
১১ এপ্রিল পুরো গাজীপুরে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু লকডাউন তেমন মানছে না মানুষ। বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দলে দলে মানুষ জড়ো হচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে।
একটু কিছু হলেই সাধারণ মানুষ সড়কে নেমে পড়ছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য আন্দোলন। আর এতে ক্রমেই গাজীপুরে করোনা আক্রান্ত বেড়ে চলছে।
জেলার কয়েকটি শিল্পকারখানা এখনো বন্ধ হয়নি। আবার অনেকে আতঙ্কে ট্রাক-পিকআপ, অটোরিকশা বা হেঁটে যে যেভাবে পারছে গাজীপুরের ওপর দিয়ে চলাফেরা করছে। এতে দেশের অন্য এলাকায় ভাইরাসটি আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবার থেকে পুরো জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। যে কোনভাবেই মানুষদের ঘরে রাখার চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জিএমপি পুলিশ ও জেলা পুলিশ বৈঠক করে কঠোর হবার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, সিটির মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জিএমপি কমিশনার আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন