প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তোপে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটির নীল ছোবলে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৬২০ জন। এছাড়া শনাক্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৯ জন। প্রতিনিয়তই বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও কিছু কিছু দেশে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ায়।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে মাত্র ৮ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যা দেশটির জন্য কিছুটা স্বস্তির। থমদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। কিন্তু সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে করোনা যুদ্ধে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পাঁচটি রাজ্য ও অঞ্চলে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। অপরদিকে ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে নতুন করে মাত্র একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কুইন্সল্যান্ডে দু'জন এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে পাঁচজন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ করো নায় আক্রান্ত হয়নি। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন করে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলেও নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এমনকি সেখানকার ৯০ শতাংশ রোগী ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। এছাড়া দেশজুড়ে ব্যাপকহারে করোনার টেস্ট করা হয়েছে। ফলে প্রথম থেকেই আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৭২ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে মারা গেছে ৫২২ জন। তবে ১৬৯ জন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রথম থেকেই কড়াকড়ি পদক্ষেপের কারণে অস্ট্রেলিয়া করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে। শুরু থেকেই বিদেশ ফেরত নাগরিকদের ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক করা হয়। এমনকি আইসোলেশন নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাহারা দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। প্রথম থেকেই চীনফেরতদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক