যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিটিক্যাল গিলিয়াড সায়েন্সেসের রেমডিসিভির ওষুধ নিয়ে নভেল করোনা বিষয়ক প্রথম ট্রায়ালের যে খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তাকে ‘অনুপযুক্ত’ এবং ‘অসমাপ্ত’ দাবি করেছে কোম্পানিটি। কর্মকর্তারা বলছেন, এই ওষুধে তারা সত্যিই ‘ভালো সাফল্য’ পেয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ওষুধে রোগীদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরে অবশ্য প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয়া হয়।
খসড়া প্রতিবেদনের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে গিলিয়াডের শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ পড়ে যায়।
এরপর সিএনবিসির সঙ্গে আলাপকালে কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনেক আগে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আমরা অনুতপ্ত। যে তথ্য এসেছে সেটি অনুপযুক্ত এবং অসমাপ্ত। পরে সেটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি রেমডিসিভির ওষুধে ভালো কাজ হতে পারে।’
গত সপ্তাহে কয়েক জন মার্কিন চিকিৎসক জানান, রেমডিসিভির ওষুধ ব্যবহারকারী রোগীদের অধিকাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তাদের সুস্থ হতে ৬ থেকে ১০ দিন সময় লেগেছে।
‘সবচেয়ে ভালো খবর হল আমাদের অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। এখন দুইজন বাকি আছেন,’ ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর চিকিৎসক ডাঃ ক্যাথলিন মোলানে বলেন, ‘অধিকাংশ রোগী ৬ দিনের ভেতরই সুস্থ হয়েছেন। সর্বোচ্চ ডোজ দিতে হচ্ছে ১০ দিন।’
গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও ওষুধটির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করা হয়। কর্মকর্তারা জানান রেমডিসিভিরে কডিড-১৯ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
তবে ওই খসড়া প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়, চীনে ২৩৭ জন আক্রান্তের ওপর করোনা চিকিৎসা নিয়ে একটি ট্রায়াল চালানো হয়। যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক রোগীকে রেমডিসিভির দেয়া হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, ওষুধটি কাজ করছে না। বরং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
গিলিয়াড জানিয়েছে, ‘ওষুধটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রোগীদের পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগবে। সব ডেটা বিশ্লেষণ করে তারপর বলা যাবে, ওষুধটি কতটা কার্যকরী।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত