করোনাভাইরাস রুখবেন কীভাবে? গত কয়েকমাস ধরে বিশেষজ্ঞদের অনেক পরামর্শে তা সকলেই এখন প্রায় মোটামুটি জানেন। কিন্তু বাজারে মাস্কের সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে ফেস শিল্ডও। মাস্ক পরলে কী ফেস শিল্ড পরার দরকার আছে? নাকি মাস্কের বদলে ফেস শিল্ড পরলেই হবে? এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্কের বদলে ফেস শিল্ড ব্যবহার করা মোটেই সুরক্ষিত নয়। অতএব মাস্কে মুখ ঢাকতেই হবে।
মাস্কের বদলে আপনি ফেস শিল্ড ব্য়বহার করতে পারেন না। অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থা বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের বিকল্প হিসেবে ফেস শিল্ড আদৌ সুরক্ষিত কি না কিংবা এ ধরনের প্লাস্টিকের সুরক্ষাকবচে থাকা ব্যক্তি থেকে অন্যদের শরীরে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট গবেষণা হয়নি।
তাহলে আপনি ফেস শিল্ড কেনই বা পরবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পরার পাশাপাশি যদি আপনি করোনাভাইরাস থেকে আরও কিছুটা নিজেকে নিরাপদে রাখতে চান, তাহলে ‘একস্ট্রা প্রোটেকশন’ হিসেবে ফেস শিল্ড ব্যবহার করতেই পারেন।
অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেস শিল্ডের একটা কার্যকরী দিকও রয়েছে। মাস্ক পরলে যেমন শুধু মুখ ঢাকা থাকছে। কিন্তু মাস্কের সঙ্গে ফেস শিল্ড পরলে আপনার চোখও অনেকটা সুরক্ষিত থাকতে পারে। পাশাপাশি মুখাবয়বে আপনার হাতের স্পর্শ লাগবে না, যার ফলে আপনি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারবেন।
ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, হুডেড বা যেসব ফেস শিল্ডের চারদিকে র্যাপ দিয়ে মোড়া, সেসব অনেকটাই সুরক্ষিত। তবে , যদি আপনার কাছে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ফেস শিল্ড থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করার আগে পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়। ফেস শিল্ড পরার আগে এবং খোলার আগে হাত ধোয়া জরুরি। সেইসঙ্গে মুখ স্পর্শ না করে ফেস শিল্ড খোলাটাও দরকার।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ