আগামী ৩০ মার্চ শেষ হবে করোনার টিকার প্রথম ডোজ। আর বাকি ৯ দিন। কুমিল্লার জন্য বরাদ্দের ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকার মধ্যে এখনো অর্ধেক টিকা অব্যহৃত রয়ে গেছে। এখনো রয়ে গেছে আরো ১ লাখ ৩২ হাজার টিকা। রবিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লার জেলার জন্য ২ লাখ ৮৮ হাজার টিকা বরাদ্দ হিসেবে পেয়েছি। ৭ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ২ লাখ রেজিষ্ট্রেশন করে। যার মধ্যে গত ৪২ দিনে বরাদ্দের ১ লাখ ৫৬ হাজার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনো রয়ে গেছে আরো ১ লাখ ৩২ হাজার টিকা। আগামী ৩০ মার্চ প্রথম পর্বের ডোজের মেয়াদ শেষ হবে। তার মধ্যে হয়তো আগামী ৯ তিনে আরো ৩০ হাজার টিকা পুশ করা যাবে। তারপর বাকী থাকা ১ লাখ ২ হাজার অব্যহৃত টিকা ফেরত পাঠানোর হবে।
তবে সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কোন টিকাই ফেরত পাঠানো হবে না। আগামী ৯ তিনেই বাকি টিকাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি টিকা ৪ ডলার মূল্য কিনে এনেছেন। এগুলো ফ্রিতে আসেনি। আমাদের চেয়েও অনেক উন্নত দেশ এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনার টিকা পায়নি। তাছাড়া করোনা টিকার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সবার উচিত সময়মতো টিকা দেয়া এবং মাস্ক পরিধান করা।
মাত্র ৯ দিনে ১ লাখ ৩২ হাজার টিকা প্রদান সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, আমরা চেষ্টা করবো। সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য সিভিল সার্জন বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার