করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বেসামাল হচ্ছে ভারতের কোভিড পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। শুক্রবার তা প্রায় সাড়ে ৮১ হাজার। ২৮ সেপ্টেম্বরের পর দেশটিতে এত সংখ্যক লোক একদিনে আবার আক্রান্ত হল। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে করুণ। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ১৩১ জন।
করোনার নতুন প্রজাতির জন্যই সংক্রমণ এ রকম আকার নিচ্ছে বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেছিলেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এক লাফে বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশটিতে দৈনিক মৃত্যু এক মাস আগেও ছিল ১০০-এর আশেপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৪৬৯। মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। কর্নাটক, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং ছত্তীসগঢ়েও গত ক’দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
৯-১০টি রাজ্যের আক্রান্ত বৃদ্ধি দেশে দৈনিক সংক্রমণ এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র তাদের মধ্যে সবার উপরে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৩ হাজার ১৮৩ জন। সে রাজ্যের একাধিক জেলায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এর মধ্যে মুম্বাইয়ের অবস্থা রোজ খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাইয়ে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৬ জন, যা গোটা করোনা মহামারীকালে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাণিজ্য নগরীতে ইতিমধ্যেই ৮০টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কন্টেনমেন্ট জোনের ৬৫০টি বহুতল সিল করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের পৌর প্রশাসন। নতুন করে বিধি নিষেধ জারি করার আভাসও দিয়েছেন মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার।
বিডি প্রতিদিন/কালাম