মেহেরপুরে লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে করোনার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি।
করোনা সংক্রমনের হার মেহেরপুরে প্রতি একশ জনে ১৮-২০ জন। শনাক্তের হার ১৪.৬ ভাগ। ভারতের সাথে মেহেরপুরের সীমান্তে বন্ধ থাকায় বৈধ পথে করোনার সংক্রমণ নিয়ে কোন ব্যক্তির আসার সুযোগ নেই।
তবে সীমান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ কাটাতারের বেড়া পার হয়ে প্রতিদিনই চোরা চালানিরা যাতায়াত করছেন। এরপর তারা মিশে যাচ্ছে লোকালয়ে তাদের মাধ্যমে করোনা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরলে তা শনাক্তের সুযোগ থাকছেনা। তবে আইনপ্রয়োগকারি সকল সংস্থা ও বিজিবির দাবি সীমান্তের কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে যাতায়াতের কোন সুযোগ নেই।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, 'মেহেরপুরে করোনা সংক্রমনের হার শতকরা ১৮-২০ ভাগ আর শনাক্তের হার ১৪.২৩-১৪.৬৩ ভাগ। জেলা শহরে জিনোম সিকোয়েন্স টেস্টের ব্যবস্থা নেই এটা শুধু মাত্র ঢাকা আইসিডিআরএ করা হয়ে থাকে। তবে এখনও এ ধরনের টেস্টের রোগীর সন্ধান মিলেনি।'
এখন পর্যন্ত ৮২ জন ভারত ফেরত প্রতিষ্ঠানিক হোকোয়ারেন্টে আছে। এদের দায়িত্বে রয়েছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। সার্বিক বিষয়টি তদারকি করছেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, 'ভারত থেকে আগত বাংলাদেশিদের নিয়ম মেনে খাবার সরবরাহ করাসহ স্বাস্থ্যর বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের নজর দারি ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। আগত ব্যক্তিদের মধ্যে মেহেরপুরের কোন ভারত ফেরত নেই।'
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির