দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করেছে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। নন-জিওস্টেশনারি অরবিট নীতিমালার আওতায় এ সেবা গতকাল থেকে দেশে চালু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, স্টারলিংকের ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হবে না। এর জন্য দুটি নিরাপত্তার বিষয় রেখেছি। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, একটি হচ্ছে স্টারলিংককে লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ তাদের স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করতে হবে এবং সেই গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে গেটওয়ে হয়ে ইন্টারনেট যাবে। আমরা বলেছি, তারা চাইলে বিকল্প হিসেবে বিদেশি গেটওয়ে রাখতে পারব, কিন্তু অ্যাকটিভ ডিভাইস মনিটর করার জন্য, সেখান থেকে রাজস্ব আয়ের জন্য এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের যারা লাইসেন্স গেটওয়ে আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। সেখানে এলআইসি বসাতে হবে অর্থাৎ আমাদের আইনে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যে ইন্টারসেপ্টের বিধান আছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা থেকে সেই কমপ্লায়েন্স মানতে হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের জন্য দুটি প্যাকেজের কথা জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর মধ্যে একটি স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং অপরটি রেসিডেন্স লাইট। রেসিডেন্স প্যাকেজে মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটে খরচ মাসিক ৪ হাজার ২০০। তবে ইন্টারনেট সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ করতে হবে। এখানে ডেটা লিমিট নেই। একটি সংযোগে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ মেগাবিট পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ডিভাইস স্থানান্তর করা যাবে না।