মুন্সীগঞ্জ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০ জনের নমুনায় ৫৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে ৪০ জন, টঙ্গিবাড়ি ৩ জন, লৌহজংয়ে ৩ জন, শ্রীনগরে ৪ জন এবং গজারিয়ায় ৭ জন নতুন করে করোনাক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩২৭ জন তাদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩১৯০ জন, টঙ্গিবাড়ি ৪৫০ জন, সিরাজদিখানে ৯৮৩ জন, লৌজয়ে ৫৪৩ জন, শ্রীনগরে ৬৬৯ জন এবং গজারিয়ায় ৪৯২ জন লোক করোনাক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬টি উপজেলায় ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।
এদিকে, সকাল থেকে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার সাথে সড়ক ও নৌপথের সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলার ৬টি উপজেলার সড়ক ও নৌ-পথের যোগাযোগ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের মুক্তারপুর সেতু এলাকায় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, শিমুলিয়া ঘাট, জেলা সদর, গজারিয়া, শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি ও সিরাজদীখান উপজেলার সড়কগুলোতে শুধুমাত্র মালবাহী যানবাহন এবং এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার এক মাত্র করোনা ইউনিটে নেই কোন আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেটার ব্যবস্থা। তাই জটিল উপসর্গ হলেই রোগীদের পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে ঢাকায়। চলতি মাসের পাঁচ দিনে ছয়জন রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ইউনিটে মারা গেছেন দুইজন।
করোনা ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. জোবায়ের ইসলাম জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বর্তমানে ২২ জন রোগী ভর্তি আছে। রোগীদের ভালো মানের চিকিৎসায় লোকবল সংকট ও আইসিইউ না থাকায়, লোকবল ও আইসিইউ চেয়ে উচ্চ মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন