২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৪

রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের ৬৯ শতাংশ ওমিক্রন : আইসিডিডিআরবি

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের ৬৯ শতাংশ ওমিক্রন : আইসিডিডিআরবি

রাজধানীসহ দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। রাজধানীতে জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গেছে। 

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আইসিডিডিআরবি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে ওমিক্রনের তিনটি সাব-টাইপ ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সংস্থাটি জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ৩৭৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য পেয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬০ জনই ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন। শতকরা হিসাবে তা ৬৯ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনার সর্বশেষ ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। সেই সময় ৭৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচ জনের শরীরে ওমিক্রন পেয়েছিল আইসিডিডিআরবি। বাকিরা ছিলেন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত।

আইসিডিডিআরবি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আলফা ভ্যারিয়ান্টের আধিপত্য ছিল। গত বছরের মার্চ মাসে বেটা ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয়।

মে মাসের মধ্যেই সেই ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যগুলো ধরনকে ছাড়িয়ে যায়।

২০২১ সালের মে মাস নাগাদ ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। সেই বছরের জুন মাস নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এটি দ্রুত বিস্তার করে চলেছে।

আইসিডিডিআরবি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ২৯ জন ওমিক্রন আক্রান্তের টেলিফোন সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন আর নারী ১৬ জন। এদের মধ্যে ২৪ জনই কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন আর তিনজন পেয়েছেন প্রথম ডোজের টিকা।

এই ২৯ জন আক্রান্তের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এদের একজন শুধুমাত্র সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অন্য কেউই দেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি।

এতে বলা হয়, ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জনের মৃদু উপসর্গ কিংবা কোনোউপসর্গও ছিল না। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন একজন।

বিডি-প্রতিদিন/আরাফাত

সর্বশেষ খবর