জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সংসদ ভালোভাবে চলছে। এ সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করবে বলে আমি আশাবাদী। গতকাল স্থানীয় সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কোনো দাবি নেই। সরকার যদি মনে করে তাদের অবস্থান ভালো তা হলে নির্বাচন দিতে পারে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন এক নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের অবস্থান ভালো থাকবে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমি কুড়িগ্রামে জন্মেছি, আর জনগণের ভালোবাসার টানে আমি এখানে এসেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা চৌধুরী সফিকুল ইসলাম, এস কে বাবু আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজার রহমান মাস্টার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরনবী সরকার, শ্রমিক পার্টির মজনুজ্জামান মজনু, ক্রীড়া সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, জাপা নেতা নজরুল ইসলাম দুখু প্রমুখ। পরে জাপা চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সার্কিট হাউসে অবস্থান করে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করেন।
জাপা দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : এদিকে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের সফরকে কেন্দ্র করে জেলা জাতীয় পার্টির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন_ উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি আশরাফুল আরিফ, সেক্রেটারি রাসেল কবির ও দুলাল ওয়াহেদ। বেলা ১টায় জেলা জাপার বিবদমান দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। চেয়ারম্যান সার্কিট হাউস ত্যাগ করার পরপরই চৌধুরী সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সদর থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফুল দিতে গিয়ে সভানেত্রী লাঞ্ছিত : এর আগে দুপুর ১২টায় সার্কিট হাউসে জাপা চেয়ারম্যান এলে অনেক নেতা-কর্মী ফুলের তোড়া দিতে উদ্যত হয়। এ সময় জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভানেত্রী রেজিয়া খাতুন ফুলের তোড়া নিয়ে এগিয়ে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।