শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে বারমারি তীর্থোৎসবে ভক্তরা মোমবাতি জ্বালিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন (বাঁয়ে) মা-মারিয়ার মূর্তির সামনে ভক্তরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে গতকাল শেষ হয়েছে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব’। উপজেলার সাধু লিওর ধর্মপল্লী বারমারীতে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ উৎসব পালিত হয়। এবার তীর্থোৎসবের মূল সুর ছিলো ‘শান্তি, মিলন ও ভালোবাসার উৎস ফাতেমা রানী মা-মারিয়া’। বৃহস্পতিবার বিকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন দিনাজপুরের বিশপ সেবাস্তিয়ান টুডো। উদ্বোধনী দিন রাত ৮টায় ৩০-৩৫ হাজার ভক্ত প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে পাপমোচনের আশায় আড়াই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পরিভ্রমণ করেন। পরে ৪৫ ফুট উঁচু মা-মারিয়ার মূর্তির সামনে বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হয়ে ভক্তি-শ্রদ্ধা জানান। গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত হয় জীবন্ত ক্রুশের পথে গীতি আলেখ্য। সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তীর্থোৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পালপুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ  এম চিরান জানান, মা-মারিয়ার প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ১৯৯৮ সালে বারোমারি গারো পাহাড়ে সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ফাতেমা রানির তীর্থস্থান স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার এখানে তীর্থোৎসব পালিত হয়ে আসছে। বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি মি. লুইস নেংমিনজা ও সাধারণ সম্পাদক মি. প্রদীপ জেংচাম বলেন, এবার তীর্থযাত্রায় আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ফিলিপাইন ও ভারতের পুরোহিতরা অংশগ্রহণ করেছেন। হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত ছাড়াও দেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত, ব্রাদার ও সিস্টারগণ অংশ নেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর