এক মাস আগের বৃষ্টিজনিত বন্যার পানি কিছুটা কমলেও যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড়, মশ্মিমনগর, হরিহরনগর, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ বাড়িঘর এখনো পানিবন্দী। সরকারি হিসাবেই এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় সোয়া এক লাখ। অনেকেই পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ৫ হাজার পরিবারের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো উঁচু রাস্তাগুলোতে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টোংঘর তুলে বসবাস করছেন। ঈদের আগে এসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে রাস্তার ধারে অস্থায়ী টোংঘরেই ঈদ কাটবে এসব মানুষের— এটা প্রায় নিশ্চিত। শ্যামকুড় সরকারি প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শ্যামকুড় গ্রামের রোজিনা বেগম বলেন, ‘বাড়িঘর পানিতে তলায়ে গেছে। পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে এক মাস ধরে এখানে আশ্রয় নিছি। চারদিক ডুবে গেছে। কাজকামও নেই। দুই বেলা খাওয়ার জন্য যাগের ত্রাণের দিকে তাকায় থাকতে হয়, তাগের আবার ঈদ! ভাতই জোটে না, গোস্ত-সিমাই কনে’। স্বামী-সন্তান নিয়ে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ফকিররাস্তায় টোংঘরে আশ্রয় নিয়েছেন হাসাডাঙ্গা গ্রামের নাছিমা। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে এখনো হাঁটুপানি। ঘরদোর সব পড়ে গেছে। পানি কমলিও সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি যাওয়া যাবে না। এরমধ্যি আবার ঈদের কথা বলতিছেন? সিটা নিয়ে ভাবি না। ওই একভাবে কেটে যাবে।’ চিনাটোলা গ্রামের গোলাম হোসেন জানান, আইসক্রিমের কাঠির কারখানার হেডমিস্ত্রি তিনি। বাড়িতে পানি জমে থাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাজ নেই, তাই বেতনও বন্ধ। ঈদের কোনো কেনাকাটা হয়নি’। শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘আমার এলাকার মুসলিমদের মধ্যে শতকরা দুজন হয়তো এবার কোরবানি দিতে পারবেন। অনেকেরই সামর্থ্য আছে, কিন্তু পরিবেশ নেই। পানি না সরায় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না। তাদের ঈদ কাটবে রাস্তায়। শ্যামকুড় ইউনিয়নের দশটি ঈদগাহ পানিতে ডুবে থাকায় একটি ঈদের জামাত চিনাটোলা বাজারে, আরেকটি ফকিররাস্তায় প্রধান সড়কের ওপরে হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান চেয়ারম্যান। পানিবন্দী মানুষের সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে মাঝে-মধ্যে ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া শুরু হয়েছে। ঈদের আগে ৫০০ পরিবারকে আলু, তেল, মসলা, পিয়াজ, রসুন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। রবিবার ৩৩০টি মেয়েশিশুকে জামা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঈদের দিন ও তার পরের দিন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মাংস বিতরণ করা হবে বলেও জানান ইউএনও।
শিরোনাম
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন ফের গ্রেপ্তার
- দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
- এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
- সেই আলফি পাস করেছে
- এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
- ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
- দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
- মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
- আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
- লঙ্কানদের ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টাইগাররা
- ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
- নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার-ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে