বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিলুপ্তপ্রায় বরালি মাছ নিয়ে গবেষণা

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

বিলুপ্তপ্রায় বরালি মাছ নিয়ে গবেষণা

মিঠা পানির মাছ বরালি। বৈরালি ও খোকসা নামেও পরিচিত। এই মাছের পাঁচটি প্রজাতিকে তিন বছর আগে বিপন্ন ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসি)। তবে আশার কথা দেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির এই মাছ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর উপকেন্দ্র এ গবেষণা চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিতি বরালি চাষের আওতায় আসবে। সেই সঙ্গে বিপন্নের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। আর দেশের উত্তরাঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনে মাছটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিএফআরই জানায়, সৈয়দপুর স্বাদুপানি উপকেন্দ্র রংপুরের চিকলি ও দিনাজপুরের আত্রাই নদী থেকে বরালি মাছসহ এর অন্য প্রজাতিগুলো সংগ্রহ করে পুকুর ও অ্যাকুরিয়ামে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ব্রুড প্রতিপালনসহ অন্যান্য গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে। আশা করা হচ্ছে আসছে প্রজনন মৌসুমে (জুন-জুলাই) কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রজাতির বরালি মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হবে। সৈয়দপুর উপকেন্দে র বিজ্ঞানী খন্দকার রাশেদুল হাসান জানান, বরালি মাছের আবাসস্থল হিসেবে সিলেটসহ দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন নদী ও খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ভারত, নেপাল ও মিয়ানমারের বিভিন্ন জলাশয়ে মাছগুলোর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যেই বিপন্ন প্রজাতির ১৮টি মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। এবার বরালি মাছ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এ মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হলে দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর