শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক্স-রে মেশিন অকেজো ১০ বছর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

এক্স-রে মেশিন অকেজো ১০ বছর

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তিন লক্ষাধিক মানুষের জন্য উপজেলায় সরকারি একমাত্র এই হাসপাতালে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না উপজেলাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডাক্তার সংকট। পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি সংকট তো আছেই। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জানা যায়, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৫০ শয্যার ভিত্তিতে রোগী ভর্তি এবং ওষুধ দেওয়া হলেও জনবল কাঠামো নেই ৩১ শয্যারও। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসক/সহকারী সার্জনের পদ রয়েছে ২১টি, যার মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। অ্যানেসথেসিয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন ডাক্তার দিয়ে গাইনি বিভাগের সিজারিয়ান অপারেশন করা হতো। তাকে অন্যত্র বদলি করায় প্রায় ১৯ মাস ধরে এ হাসপাতালে সিজারিয়ান বন্ধ। ডেন্টাল বিভাগে চিকিৎসক থাকলেও ডেন্টাল চেয়ারটি ২০০৭ সালে অকেজো ঘোষিত হওয়ায় এ বিভাগের কার্যক্রম ১২ বছর ধরে প্রায় বন্ধ। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিসিন, সার্জারি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, অ্যানেসথেসিয়া, ইউনানি ও শিশু বিভাগে কোনো চিকিৎক নেই। শূন্য আরএমও পদটিও। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদটি বহুদিন ধরে ফাঁকা। ফার্মাসিস্টের ৪টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন দুজন। এক্স-রে মেশিনটি ২০০৯ সালে অকেজো ঘোষণা করা হলেও আর নতুন মেশিন সরবরাহ করা হয়নি। ফলে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এক্স-রে বিভাগ বন্ধ।

বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বারবার সিদ্ধান্ত হলেও সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কমিটির সভাপতি আখতারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গত জুনের সভায়ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রেজুলেশনের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরেও পাঠানো হয়েছে। কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তার জানা নেই। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতাকালে স্থানীয় এমপি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা জাহিদুর রহমান জাহিদ হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালিদ বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সমস্যাগুলো সমাধান সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর