রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

রামুতে প্রথম মেজবান

আয়ুবুল ইসলাম, কক্সবাজার

জাতির পিতার শাহাদাত বরণের পর ১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট মেজবান হয় রামুতে। জানা গেছে, হাজী সৈয়দ আলম, হাবিব আহমদ, বঙ্কিম চন্দ্র ও আরো কয়েকজন জাতির জনকের এই জিয়াফতের উদ্যোক্তা।

জানা গেছে, ১৯৭৭ সালের ১২ আগস্ট রামু খিজারী হাইস্কুলে বঙ্গবন্ধুপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আলম, হাবিব আহমেদ, বঙ্কিম চন্দ্র, সুমল বড়–য়া, চিত্ত বড়–য়ার মধ্যে জাতির জনক ও তার পরিবারের নির্মম ট্রাজেডির আবেগঘন আলোচনা হয়। বঙ্কিম চন্দ্র প্রস্তাব করলেন তোমরা যারা জেলফেরত তারা আগামী ১৫ আগস্ট (১৯৭৭) বঙ্গবন্ধুর জন্য একটা জিয়াফত আয়োজন কর। এ প্রস্তাবে ছৈয়দ আলম একটি গরু দেওয়ার ঘোষণা দেন। হাজী হাবিব আহমদ দুই বস্তা চাল দেওয়ার কথা জানান। সুমল বড়–য়া, চিত্ত বড়–য়া, বঙ্কিম বড়–য়া রান্নার আনুষঙ্গিক পণ্য দেওয়ার কথা বলেন। ১৩ আগস্ট রামু ফকিরাবাজার থেকে ২০০ টাকায় একটি সাদা গরু কেনা হয়। ছৈয়দ আলম দাম পরিশোধ করেন।

১৪ আগস্ট তৎকালীন এমপি ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী তার খামার থেকে কালো রঙের গরু দেন। ১৫ আগস্ট রান্নার সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। রান্নায় নেতৃত্ব দেন মুক্তিযুদ্ধের সময় যোদ্ধাদের বাবুর্চির বাড়ি চেরাংঘরের এক ব্যক্তি (নাম জানা যায়নি) ও সুবহান মেম্বার।

তৎকালীন শাসক শ্রেণি ও দোসরদের ভয়ে আমজনতা জিয়াফত খেতে আসতে চাইছিল না। ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের মহকুমা শাখার সভাপতি আবছার কামাল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ রামুতে চলে আসেন। পরে অবশ্য শাসক শ্রেণির ভয় উপেক্ষা করে সাধারণ লোকজনও জিয়াফতে শরিক হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর