শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বপ্ন দেখাচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার

আবদুল বারী, নীলফামারী

স্বপ্ন দেখাচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার

নীলফামারী টেকনিক্যাল সেন্টারে প্রশিক্ষণার্থী কয়েক নারী

বেকারদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে নীলফামারী সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। ইতিমধ্যে এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গিয়ে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়েছেন ২৩ জন। বিদেশ যাওয়ার তালিকায় আছেন নারীসহ আরও অন্তত ১৫ জন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে তারা পাড়ি জমাবেন জাপান, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে এখন কারিগরি প্রশিক্ষণ বিষয়ক ১৫টি ট্রেড, পাঁচটি ভাষা শিখন কোর্স এবং ভোকেশনালে সাতটি কোর্স চালু হয়েছে। ভোকেশনালে দেশের দ্বিতীয় জেলা নীলফামারী। একমাত্র বগুড়া টিটিসিতে এর চেয়ে বেশি ১১টি ট্রেড রয়েছে। আর্কিটেকচার ড্রাফটিং উইথ অটোক্যাড, কম্পিউটার অপারেশন, গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং, ইলেকট্রিক্যাল হাউজওয়্যারিং, কনজুমার ইলেকট্রনিক্স, মেশিন টুলস অপারেশন, ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, মোটর ড্রাইভিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, মোবাইল সার্ভিসিং, সিএনসি অপারেশন, সলিড ওয়ার্কাস অ্যান্ড মাস্টারক্যাম, ম্যাশন, হাউস কিপিং এবং প্রাক বহির্গমন ট্রেডে নীলফামারী টিটিসিতে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এছাড়া জাপানি, কোরিয়ান, ইংরেজি এবং চাইনিজ ভাষা শেখানো হচ্ছে। ট্রেড ভেদে ১ থেকে শুরু করে ৬ মাস পর্যন্ত সময়কালে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীদের। অষ্টম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পাস করা যুবরা ভর্তি হতে পারেন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরির কারখানা টিটিসি। প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করছি এখানে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করতে। এজন্য গ্রাম, হাটে-বাজারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য প্রতি উপজেলা থেকে ১ হাজার বেকার যুবককে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে বিদেশে পাঠানো। সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি। কয়েক বছরের মধ্যে নীলফামারী টিটিসি অনেক সফলতা দেখাতে পারবে।’ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজীবুল ইসলাম জানান, অদক্ষ হয়ে দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের হাজারও বেকার যুবক। আমরা এটা চাই না। বৈধ হয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে নিজের, পরিবারের এবং দেশের উপকারে আসবে। তিনি বলেন, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র নীলফামারীতেই চাইনিজ ভাষা শিখন কোর্স চালু হয়েছে। ফলে জেলার যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উত্তরা ইপিজেডসহ বিভিন্ন ইপিজেডে চাকরি করতে পারবে ভালো বেতনে। একদিন এখানকার ছেলে-মেয়েরা চাইনিজ কারখানাগুলো দখলে নিতে পারবে।’

সর্বশেষ খবর