বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্ষায় নৌকা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বর্ষায় নৌকা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

দিনাজপুর সদর এবং চিরিরবন্দর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা আত্রাই নদী। বর্ষাকালে নদী বিমূর্ত রূপ ধারণ করে। শুষ্ক মৌসুমে বালুর চর আর কিছু স্থানে থাকে পানি। ফলে বর্ষকালে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে ওই নদীর পানির ওপর স্থানীয়দের থেরি করা বাঁশের সাঁকোই হয় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম।

সদরের বুড়িরহাট এবং চিরিরবন্দরের সাইতাড়ায় নদীর আশপাশের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বর্ষায় যেমন, শুষ্ক মৌসুমেও তেমন। ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতুর। অনেকে আশ্বাস দিলেও আজও কোনো অগ্রগতি নেই বলেই জানান স্থানীয়রা। শুষ্ক মৌসুমে নদীর দুই পাশের মাটির নিচু রাস্তা পেরিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রয়োজনে সাঁকো দিয়ে অটোচার্জার পারাপার হতে হয়। নদীর ঘাটের পাশে বসে বুড়িরহাট। হাজার হাজার মানুষ এই হাটে আসেন। এছাড়া নদীর দুই পারে রয়েছে রানীগঞ্জসহ কয়েকটি হাট-বাজার। নদীর ঘাট ব্যবহার করেন দিনাজপুর সদরের হরিরামপুর, ঝানঝিরা, পূর্ববীরগাঁ, পারগাঁ, মাধবপুর, রানীগঞ্জ, চাঁদগঞ্জসহ ১০ গ্রাম এবং ওপারের চিরিরবন্দর উপজেলার খোচনা, শংকরপুর, ওকরাবাড়ী, সাইতাড়া, ঘণ্টাঘর, বারলবাজারসহ ১০ গ্রামের মানুষ। পার্বতীপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষও এ ঘাট ব্যবহার করে। সাইতাড়া ইউপির অনেকে জানান, আমাদের দুর্ভোগ ছাড়ে না। বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। অনেক সময় বাজারমূল্য না পাওয়ায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হন। স্থানীয় ফাজিলপুর ইউপি সদস্য হবিবর রহমান জানান, এ অঞ্চলের জীবনযাত্রার মান পাল্টাতে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে অবশ্যই এখানে একটি সেতু প্রয়োজন। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি এলজিইডিকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর