নাটোরের সিংড়ায় দুর্বৃত্তের ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এক গ্রামের ৩০০ পরিবারের মানুষ। রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না এই অগ্নিসন্ত্রাস। গত সাত দিনের ব্যবধানে সাতবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আতঙ্কে ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে গ্রামবাসীর। অগ্নিসন্ত্রাসের এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের সাজুরিয়া গ্রামে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিংড়া থানায় মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। গ্রামবাসীর দাবি, এলাকায় মাদকের সঙ্গে জড়িতরাই সংঘবদ্ধ হয়ে এই অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাত ৯টায় গ্রামে আইজ উদ্দিনের পানের বরজে প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর এক দিন পর ১৫ এপ্রিল রাতে আতাউল্লাহর খড়ের পালায় অগ্নিকান্ড ঘটলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও যার যার খড়ের পালা ও বাড়ি ঘর পাহারা দেওয়া শুরু করে। পাহারা চলমান থাকা অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে শুকুর আলীর খড়ের পালা এবং ১৮ এপ্রিল রাত ২টায় ফেরদৌস আলমের খড়ের পালাসহ হাঁসের খামার ও টিনের ঘর দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, ফেরদৌস আলমের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার দিন একই সময়ে বাবু নামের একজনের পানের বরজেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর গ্রামবাসী মিলে সিদ্ধান্ত নেয় এবার শুধু যার যার স¤পদ তারা নিজেরাই পাহারা নয় তরুণ ও যুবকরা প্রতিরাতে ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত পালা করে লাঠি হাতে পুরো গ্রাম পাহারা দেবে।
সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শুরু হয় গ্রাম পাহারা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ২১ এপ্রিল রাতে আবদুর রশিদের খড়ের পালায় আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় হাতিয়ান্দহ ইউপি ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেহের আলী বলেন, এই ঘটনায় আমি তিন দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কে বা কারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ভুক্তভোগী ফেরদৌস আলমের ভাই রজব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।