সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

দূষণ-দখলে প্রাণহীন গোমতী

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

দূষণ-দখলে প্রাণহীন গোমতী

শুকিয়ে যাওয়া কুমিল্লার গোমতী

দূষণ, দখল আর অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মৃত্যুপ্রায় কুমিল্লার প্রধান নদী গোমতী। নদীর যে অংশ এখনো দখলমুক্ত আছে সেখানে জেগেছে একাধিক চর। সূত্রমতে গোমতী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের ডুমুর নামক স্থানে উৎপত্তি হয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজারের কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নগরীর উত্তর পাশ দিয়ে দাউদকান্দিতে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। নদীটির কুমিল্লার অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০৪ কিলোমিটার। সরজমিনে গোমতী নদীর কুমিল্লা সদর উপজেলার ঝাকুনি পাড়া ও জালুয়াপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর বুকে একাধিক বিশাল চর। চরে ছেলেরা ফুটবল খেলেছে। এদিকে সদরের টিক্কারচর, পালপাড়া, বুড়িচং, দেবিদ্বার, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন ১০-১২ স্থান থেকে বালু উঠানোর জন্য ইজারা দিয়েছে। কিন্তু বালু তোলা হচ্ছে শতাধিক স্থানে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বালি মাটি উত্তোলনে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চরের গাছ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর পাড় দখল হয়ে গেছে। আবর্জনা ফেলায় বেড়েছে নদী দূষণ। দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর ভিতরে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, গোমতী নদীতে পাঁচ থেকে পঁচিশ কিউসেকের ৩০টি পাম্প চালু রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেচের সমস্যা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।’ খননের বিষয়ে তিনি জানান, প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম। তবে বিআইডব্লিউটিএ এটি খননের অনুমতি পেয়েছে। আশা করছি শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর