বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

১৭ দিন হাজতে, তবু পেলেন পুরো মাসের বেতন

কমিউনিটি হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনা শালিসে আপসরফা করার ঘটনায় করা মামলায় ১৭ দিন জেলহাজতে ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কর্মকর্তা (কমিউনিটি হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার)। মাসের অর্ধেকের বেশি সময় জেলহাজতে থাকলেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত না করে পুরো সময়ের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের এমন সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট দফতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। মাতব্বররা আপসের কথা বলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বাধা দেন। পরে শালিসে শিশুটির নামে সামান্য জমি লিখে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। এসব কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও খানপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্লাবন। এ ঘটনায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট গ্রেফতার হন তিনি। পর দিন তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ১৭ দিন হাজতবাসের পর জামিনে বেরিয়ে আসেন প্লাবন। এক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আদালতে জমা দেওয়া হয়। মাসের অর্ধেকটা সময় জেলে থাকলেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে তাকে পুরো আগস্ট মাসের বেতন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে তিনি সাময়িক বরখাস্ত হবেন।

সর্বশেষ খবর