রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চুক্তির বরখেলাপ ৫ শতাধিক চালকল মালিকের শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া

চুক্তির বরখেলাপ করায় বগুড়ায় পাঁচ শতাধিক চালকল মালিককে শাস্তি ও জরিমানা করেছে জেলা খাদ্য অধিদফতর। এবার ভালো ফলনের পরেও চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান সফলতা পায়নি।  লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে বগুড়ায়। আর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরেও প্রায় ৫ শতাধিক মিলার কোনো ধান-চাল সরবরাহ করেনি। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরেও সরকারের গুদামে নিয়ম অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় মিলার কালো তালিকার সঙ্গে শাস্তিও প্রদান করা হচ্ছে। শাস্তি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম। জানা গেছে, গত বোরো মওসুমে জেলার ১২টি উপজেলার ২৩টি এলএসডি ও ১টি সিএসডি সরকারি খাদ্য গুদামে ৭১ হাজার ৮৪৮ মেট্রিক টন চাল সরবরাহে মোট ১ হাজার ৯৬২ জন চালকল মালিকের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৬ জন চুক্তি করেন। এ ছাড়া লোকসানের আশঙ্কায় জেলার বাকি ৪০২ জন মিল মালিক চাল দিতে সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করেনি।

 সরকারি গুদামে সিদ্ধ চালের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে দাম কিছুটা বেশি থাকায় চুক্তি করেও লোকসানের কারণ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহ করেননি ৩২৩ জন। আংশিক সরবরাহ করেছেন ২৪৮ জন। এতে জেলায় দু’দফায় (১ মে, ৩১ আগষ্ট ও ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৬৭ মেট্রিক টন। কৃষক থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টনের স্থলে ২২ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন। খাদ্য বিভাগ চাল সরবরাহে মিল মালিকদের বার বার তাগিদ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। তাই সরকারি চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে ৩২৩ জন মিল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করে আগামী দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করে শাস্তি প্রদান করেছে। একই সঙ্গে আংশিক সরবরাহ করায় ২৪৮ জন মিল মালিককে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে খাদ্য বিভাগ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, চুক্তি না করা মিল মালিকদের আগামী দুই মওসুম, চুক্তি করেও চুক্তি মোতাবেক চাল সরবরাহ না করায় এক মওসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ এসব মিল মালিকরা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবে না। এ ছাড়া আরও কিছু মিল মালিককে আর্থিক শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এসব শাস্তির কারণে আগামী মওসুম থেকে চুক্তি মোতাবেক চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে খাদ্য বিভাগ।

সর্বশেষ খবর