অবৈধ দখলে নোয়াখালী জেলা পরিষদের কোটি টাকার জমি। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে বেদখলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের এসব সম্পত্তি উদ্ধারের কোনো তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। জেলা সদর, সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি লিজের নামে দীর্ঘদিন থেকে বেদখল হয়ে আছে। আবার লিজের অনেক জমিও জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর গোপন ইন্ধনে সরকারের কোটি কোটি টাকার জমি বেদখল হচ্ছে। জানা যায়, জেলার সুধারাম থানাধীন ৯৫ নম্বর নোয়াখালী মৌজার প্রযুক্তি সড়কে দাগ নং দিয়ারা ৩৯০, বর্তমান হাল দাগ ৪৬৩, ২৩ শতক ভূমি জেলা পরিষদের নামে ৩ নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৬ সালে উক্ত দাগের কিছু সম্পত্তি কৃষিবিদ আমির হোসেন একসনা ইজারা গ্রহণ করে প্রতি বছরের ন্যায় সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দোবস্ত নবায়ন করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি উক্ত লিজকৃত জায়গায় মাটি ভরাট করিয়া জবরদখলের চেষ্টা করছেন।
এবং বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিয়ে সেখানে ওয়ার্কসপ ও স-মিল বসানোর জোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে একটি মামলা হয়। যা আদালতে চলমান রয়েছে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগ অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তিতে পুনরায় বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি না নিয়ে উক্ত স্থানে স-মিল করার উদ্যোগ নিলে বনবিভাগের হস্তক্ষেপে ভেস্তে যায়। কৃষি কর্মকর্তা আমির হোসেন দাবি করেন তার বাড়ির চলাচলের পথে তারা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, তারা জেলা পরিষদের আরও কিছু জায়গায় খাল ভরাট করে জবরদখল করে রাখছে এবং তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহী আলম বলেন, অনেক জায়গায় আমাদের লিজে আছে। বর্তমানে ৫০০টি ফাইল নবায়নের অপেক্ষায় আছে। এর বাইরে কেউ অবৈধ দখলে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।