১০ বছরের শিশু চাঁদনী। অভাবের কারণে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল ঢাকায়। ৯ মাস পর বুধবার শরীরে দগদগে ঘা নিয়ে সে কুষ্টিয়ায় ফিরেছে। সারা শরীরে নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে ওই দিন বিকালে খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে চাঁদনীকে। সে খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার হতদরিদ্র তমিজ উদ্দিন তোজার মেয়ে। শিশুর পারিবারিক জানায়, তাদের গ্রামের মাসুদুজ্জামান রান্টুর মেয়ে নেছার খাতুন মাসে ১ হাজার টাকা বেতন ও খাওয়া-পড়ার শর্তে এক প্রকার জোর করেই তার ঢাকার বাসায় কাজের জন্য চাঁদনীকে নিয়ে যায়। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই চাঁদনীর পরিবারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। চাঁদনী জানায়, ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চার দিন পর থেকেই তার উপর গৃহকর্ত্রীর নির্যাতন শুরু হয়। খোকসা উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার শামীম মাহমুদ জানান, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

খোকসার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, নির্যাতনের ঘটনা ঢাকায় ঘটেছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ঘটনা জানাজানির পর থেকে স্থানীয় এক পক্ষ বিষয়টি মীমাংসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।