রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

যমুনায় বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ছয় গ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

যমুনায় বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ছয় গ্রাম

সোনাতলা উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে অন্তত ছয় গ্রাম। এ নদী থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক বালু যাচ্ছে বগুড়া শহরে। এতে হুমকির মুখে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। অন্যদিকে পুরো এলাকা ধুলোয় অন্ধকার হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলার পাকুল্লা ইউনিয়নের চালালকান্দীসংলগ্ন যমুনা থেকে একটি স্বার্থন্বেষী মহল অবাধে শ্যালো মেশিন, এস্কেভেটর (ভেকু) ও শ্রমিক লাগিয়ে অবাধে বালু তোলায় হুমকির মুখে পড়েছে পাকুল্লা, চালালকান্দী, আচারের পাড়া, বাবলাতলা, শাহবাজপুর ও হুয়াকুয়া গ্রাম। প্রতিদিন শহর থেকে আসা শতাধিক মিনি ট্রাক ও ট্রাক দিনে রাতে ওই স্থান থেকে বালু নিয়ে যাচ্ছে বগুড়া শহরে। এতে ছয় গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবারের বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ পাকুল্লা-চরপাড়া, চরপাড়া-সর্জনপাড়া ও সোনাতলা-বগুড়া সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পাকুল্লার শাহারুল ইসলাম মাস্টার, বেল্লাল হোসেন মাস্টার, আইয়ুব হোসেন, শামছুল আলম, এনামুল হক জানান, অবাধে বালু তোলায় ঝুঁকির মুখে বসবাস। নাকের ডগায় একশ্রেণির বালু ব্যবসায়ী নদী থেকে প্রতিদিন বালু বিক্রি করে মোটা অঙ্কের ফায়দা লুটলেও প্রশাসন দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি মো. রেজাউল করিম রেজা জানান, এ বিষয়ে কেউ তাকে অবগত করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন জানান, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বালু তোলা বন্ধ করা হবে।

 সংশ্লিষ্ট উপজেলায় এখনো বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর