পানি নেই জিকে সেচ প্রকল্পে। ফলে ঝিনাইদহে পানি সরবরাহ করা হয়নি কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালে। বৃষ্টি না হওয়া আর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলার কৃষকেরা। জানা যায়, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ঝিনাইদহের তিনটি উপজেলা। এই সেচ প্রকল্পের আওতায় জেলার তিন উপজেলার প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহের এই জিকে সেচ প্রকল্পের পানি সরবরাহ না করায় ব্যাহত হচ্ছে পাট ও আউশ ধানের আবাদ। গত মাসের শুরুর দিকে কিছুটা পানি সরবরার করা হলেও তা ছিল না পর্যাপ্ত। বোরো ধানের জন্য পানি প্রয়োজন হলেও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করতে পারেনি। পানি না থাকায় আবাদ করা যাচ্ছে না পাট ও আউশ ধানের আবাদ। শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের কৃষক আক্তার উদ্দিন জানান, এখন পিঁয়াজ, রসুন মাট থেকে উঠে গেছে। পাট আর ধান লাগাতে হবে। কিন্তু ক্যানালে পানি পাচ্ছি না। পাট যদি এখন না বুনতে পারি তাহলে বুনবো কবে। ক্যানালের পানি আরও আগে আসা দরকার ছিল। সেচ দিয়ে পাট আর ধান বুনতে গেলে অনেক খরচ। একই গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এতদিন যদি খালে পানি দিয়ে দিত তাহলে পাট আগেই বুনতে পারতাম। ধানের চারা দিতেও পারতাম। পানি নেই। কী দিয়ে চাষ করব। এদিকে বৃষ্টির পানিও হচ্ছে না যে বৃষ্টির পানি দিয়ে চাষ করব। খুব বিপদে আছি। খন্দকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাশেম আলী বলেন, ক্যানালে পানি নেই। বৃষ্টিও হচ্ছে না। আবার বোরিং দিয়ে যে পানি তুলে চাষ করব তাতেও পানি উঠছে না। খুব কষ্টে আছি। পানির লেয়ার নিচে নেমে গেছে। পানিও উঠছে না। কীভাবে চাষ করব। এখন ক্যানালে যদি পানি দিত তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতো। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের পানি কৃষকের চাষের জন্য খুবই উপকারী। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমবে। আর এখন যদি পানি সরবরাহ না করা হয় তবে পাট ও আউশ ধানের আবাদ পিছিয়ে যাবে। এ জন্য দ্রুত সেচ প্রকল্পের সব এলাকায় পানি সরবরাহ করা উচিত। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালেব বলেন, পদ্মা নদীতে পানি না থাকার কারণে জিকে প্রকল্পে বোরো ধানের আবাদে পানি সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। শিগগিরই পানি সরবরাহ হলে বেরোর আবাদে পরিবর্তন আসতে পারে। বোরো ধানের পানি এখন সরবরাহ করা হবে। আর আউশ আবাদের পানি সরবরাহ করা হবে এ মাসের শেষ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ ছাড়াও কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী স্থানভেদে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
শিরোনাম
- ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ
- চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি
- জেমিনি থেকে প্রম্পটিং, বিনামূল্যে ৫ কোর্সে এআই শেখার সুযোগ
- অ্যালগরিদম বদলে গেছে, তাই পথও বদলাচ্ছেন ইউটিউবাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪৬৮
- সুরমা নদীর ভাঙন ঠেকাতে সুনামগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
- ‘দেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের ৩১ দফার বিকল্প নেই’
- দুবলার চরে শুরু শুটকি মৌসুম, সাগরে নামছেন ১০ হাজার জেলে
- বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত–আহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭২৬
- ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ
- বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত তিন হাজার কর্মী নেবে জাপান
- দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প ও শি জিন পিং
- ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
- এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
- নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই : প্রেসসচিব
- ব্রয়লার ১৭০, পাঙাশ ১৮০, গরু ৭৪০, ডিমের হালি ৫০....
- রাজধানীর বাজারে কিছুটা স্বস্তি, কমেছে সবজির দাম
- ভারতের বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন, নিহত বেড়ে ২৫
- জামায়াত শুরু থেকেই জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : রুমিন ফারহানা
পানি নেই জিকে সেচ প্রকল্পে
পদ্মা নদীতে পানি না থাকায় জিকে প্রকল্পে বোরো ধানের আবাদে সেচ বিঘ্নিত হচ্ছে
শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর