কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিল নিয়ে স্থানীয় একাধিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ বিরোধের জেরে গত এক যুগে হামলা-সংঘর্ষে খুন হয়েছেন ছয়জন। সবশেষ গত ৭ জুন সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নহত হয়েছেন। সাজিয়া, ডুবাইল ও আমাইল এ তিনটি বিলের অবস্থান তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নে। এলাকাবাসী জানান, এ সব বিলের দখল নিয়ে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকটি গ্রুপ। যাদের মধ্যে প্রায়ই ঘটে দ্ধন্ধ-সংঘাত। ‘বড় দল’ ও ‘ছোট দল’ নামে দুটি গ্রুপে বিভক্ত বিলকেন্দ্রিক লোকজন। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ১২ বছরে বিল নিয়ে সংঘর্ষে খুন হয়েছেন জজ মিয়া, ইদিল, সাহেদ, শিশু জামাল, শফিকুল ও রাশিদ। এর মধ্যে গত ৭ জুন সন্ধ্যায় খুন হন শফিকুল ও রাশিদ খুন হন। ইজিবাইক চালক শফিকুল ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইজিবাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। একটি পক্ষ তাকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে খুন করে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় রাশিদ বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ আসার খবরে তিনি বাড়ি থেকে সরে যান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত ১১টার দিকে সাজিয়া বিলে তার লাশ পাওয়া যায়। রাশিদের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই দিন সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি হাঁস, মুরগি ও গবাদি পশুও লুট হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ ও পুলিশের ভয়ে এলাকার বেশিরভাগ পুরুষ সদস্য এখন গ্রামছাড়া। নিহত শফিকুলের স্ত্রী খাদিজা বলেন, স্বামীর উপার্জনেই তাদের সংসার চলতো। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি। নিহত রাশিদের পুত্রবধূ মাকসুদা বলেন, সংঘর্ষের সময় পালিয়েও বাঁচতে পারেননি তার শ্বশুর। তারা এই দ্ধন্ধ-সংঘাতের অবসান চান। স্থানীয় দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপ হোসেন বলেন, বিলকেন্দ্রিক সবাই এক সময়ে ঐক্যবদ্ধ ছিল। পরে স্বার্থ ও ভাগাভাগি নিয়ে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিল নিয়ে বড় দল ও ছোট দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারেই সংঘর্ষ হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। এখানে কারো নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণ মানুষকে টিকে থাকতে হলে পক্ষ নিতেই হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপ দরকার। তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, তিনি এখানে যোগদানের আগে থেকেই দ্ধন্ধ-সংঘাত চলে আসছে। ৭ জুন সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুলিশ সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
বিল দখল নিয়ে বাড়ছে খুনোখুনি
তাড়াইলে এক যুগে ছয়জন নিহত॥ গড়ে উঠেছে একাধিক গ্রুপ
সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর