পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বা¤পার ফলন হয়েছে। নতুন ধানের মৌ-মৌ গন্ধে যেন মুখরিত রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬ ইউনিয়ন। কেউ ধান কাটা, ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের পরিবারে বইছে আনন্দের জোয়ার। ইতোমধ্যে বেশকিছু এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই ধান কাটা শেষ হবে। তবে সময়মতো রোদ-বৃষ্টি থাকায় চরমোন্তাজ, বড়বাইশদিয়া, মৌডুবি ও চালিতাবুনিয়ায় অনেক অনাবাদি জমিতে আবাদ হওয়ায় ধানের বা¤পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রাঙ্গাবালী উপজেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৩১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে। তবে ধান উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে বলে দাবী কৃষি বিভাগের। চলতি আমন মৌসুমের সর্বোচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান (অ্যারাইজ-৭০০৬) দিয়ে কাটা শুরু হয়েছে। আমন ধানের বা¤পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। শ্রমিক সংকট থাকায় হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে বলে আশা কৃষকদের। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে যান্ত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিক সংকট কমবে। খরচ কমার পাশাপাশি কম সময়ে বেশি ধান কাটা সম্ভব হবে। বাহেরচর গ্রামের চাষি শহিদুল সিকদার বলেন, এই বছর সবচেয়ে বেশি ধান হয়েছে। আবার অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধান মটিতে শুয়ে পড়েনি। এখন বাজারে ভালো দাম পাইলেই হয়। একই গ্রামের মুকুল বয়াতি বলেন, এবছর জমিতে সময়মত ঠিকভাবে সার ঔষধ দিতে পারিনি। তার পরেও ধানের ফলন বিগত দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক গুন ভালো ফলন হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমের সর্বোচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান (অ্যারাইজ-৭০০৬) চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এধান চাষে অধিক ফলন হয় । সাধারণ ধানের তুলনায় ১৫-২০ দিন পূর্বে কাটা যায়। কর্তনকৃত জমিতে তরমুজ, বাদাম, শরিষা, ভুট্টা ও সূর্যমুখী আবাদে সুবিধা হবে।