শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সরিষার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

সরিষার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

দিনাজপুরে সরিষা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বীরগঞ্জসহ সবখানে এবার সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। অল্প সময়ে, তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায় সরিষার ফলন। গাছও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। ফলে বাড়তি কিছু অর্থ আসে। এ কারণে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সরিষা চাষ।  জানা যায়, বোরো ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জমি ফেলে না রেখে সরিষা আবাদ করেন চাষিরা। সরিষা চাষের ফলে জমির ঊর্বরা শক্তি বাড়ে। পরে বোরো চাষের জমিতে সারও তেমন দিতে হয় না। চলতি মৌসূমে এরই মধ্যে জেলায় সরিষা কাটাই-মাড়াই শুরু হয়েছে। ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে সরিষা মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এবার উচ্চ ফলনশীল বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৭, বারী-১৮ এবং দেশি জাতের সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। কয়েকজন কৃষক বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সরিষা খেতে পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। দুটি ফসলের মাঝে সরিষা চাষ বাড়তি ফসল হিসেবে দেখেন তারা। আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। মাত্র ৫৫ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। এক একর জমিতে সরিষা চাষে খরচ পড়ে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। সঠিক পরিচর্যায় প্রতিএকরে ফলন হয় ১৫-১৮ মণ। ঘোড়াঘাটের মগলিশপুর গ্রামের কৃষক সাজ মিয়া জানান, আমন ধান কাটার পর তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। সরিষা বিক্রির টাকায় বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার খরচ জোগাড় হয়ে যাবে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার বলেন, সরিষা চাষ করতে সেচসহ বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। ফলে সরিষা চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হন। অধিক ফলন পেতে প্রশিক্ষণ ছাড়াও কৃষি প্রণোদনায় সার ও বীজ সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রার বেশি সরিষা চাষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর