নির্মাণ শিল্পে নির্মাণ শিল্পীদের দক্ষতা ও সচেতনতাকে এগিয়ে নিতে ‘শৈল্পিক নির্মাণ, রাজমিস্ত্রির অবদান’ শীর্ষক কর্মশালা ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষ থেকে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। গতকাল রাতে শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিমেন্টের ডিজিএম (সেলস) মো. পলাশ আক্তার। অনুষ্ঠানে স্থাপনা নির্মাণ কৌশল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ফরিদপুর পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. সামসুল আলম। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, নির্মাণকার্যে দক্ষ কর্মীর ভূমিকা এবং উন্নতমানের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ছাড়া গুণগত মান বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার হয়ে আসছে। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী আলী, আবুল হোসেন, খন্দকার শাহিদুল ইসলাম (লিটন), ফরিদপুর জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমান আলী মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মা সেতু প্রকল্প, পদ্মা সেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মা সেতুর অ্যাপোচ রোড, মেট্রোরেল প্রকল্প, ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, পায়রা সেতুসহ মেগা প্রকল্পে ব্যবহার হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। দেশে বসুন্ধরা সিমেন্টর কোনো বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির, দেবদাস বিশ্বাস, আবুল হাসানসহ বসুন্ধরা সিমেন্ট সেক্টরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। অংশগ্রহণকারী রাজমিস্ত্রিরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সিমেন্টের গুণাগুণ বর্ণনা করেন।