বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পানি বাড়ছে তিস্তায়, বন্যার আশঙ্কা

নজরুল মৃধা, রংপুর

পানি বাড়ছে তিস্তায়, বন্যার আশঙ্কা

কয়েকদিনের ব্যবধানে তিস্তার পানি আবারও বাড়তে শুরু কেেরছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার আশঙ্কায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এদিকে গত ১০ বছরে তিস্তার করাল গ্রাসে সাড়ে তিন লাখের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন।  রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার। অপরদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রতিবছরই উজানের ঢল এবং ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে একাধিকবার তিস্তায় বন্যা দেখা দেয়। এতে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি অনেকের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, রংপুর বিভগের পাঁচ জেলার ১২টি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। দেশের দরিদ্র চারটি জেলার অবস্থান রংপুর বিভাগে। এগুলো হচ্ছে- রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। আর দরিদ্রতার প্রধান কারণ হচ্ছে নদীভাঙন। নদীভাঙনে জমি-বসতভিটা হারিয়ে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হাজার মানুষ নিরাশ্রয় হয়ে পড়ছেন। গত ১০ বছরে সাড়ে তিন লাখের বেশি পরিবার নিরাশ্রয় হয়েছে। তাদের কেউ কেউ চরে, কেউ বাঁধে আবার কেউ শহরে গিয়ে দিনমজুরি করে কোনোরকমে বেঁচে রয়েছেন। বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নদীর পরিচর্যা করলে এমন অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটবে এমনটা মনে করছেন তিস্তা নদী নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তারা। গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল হাদি জানান, গত বছরের বন্যায় তার ইউনিয়নে প্রায় আড়াই শ পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে জমি-বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, তার ইউনিয়নের শহিদুলের প্রায় এক একর জমিসহ বসতভিটা, আজিজুলের বসতভিটাসহ ৫০ শতক জমি গত বছর নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে তারা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর