মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর বিভিন্ন শিল্পকারখানার দূষিত পানি, পলিথিন, প্লাস্টিকসহ বর্জ্য পাশের খাইঞ্জার হাওরে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে দূষিত হচ্ছে হাওরের দুই ফসলি কৃষিজমি। আবাদের অনুপযোগী হচ্ছে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি। কৃষকরা চাষাবাদের জন্য জমিতে নামতে গিয়ে দূষিত বর্জ্যরে কারণে চর্মসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা রয়েছে। বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানার মধ্যে দু-একটি কারখানায় ইটিপি স্থাপন হলেও অধিকাংশ কারখানায় বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব কোনো প্লান্টেশন না থাকায় এসব বর্জ্য ছোট খাল ও ড্রেন দিয়ে নামছে হাওরের কৃষিজমিতে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে হাওরের পুরো পরিবেশ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বর্জ্য আর হাওরের পানি একাকার হয়ে দূষিত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন হতাশা বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। সরেজমিন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোমরা এলাকায় বিসিক শিল্পনগরীতে গিয়ে দেখা যায়, বিসিকে খাদ্যসামগ্রী, কেমিক্যালসহ প্রায় ৩৮টি বিভিন্ন প্রকারের কারখানা চালু রয়েছে। এসব কারখানার বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিসিক শিল্পনগরীর সীমানা পেরিয়ে দূষিত পানি, পলিথিন ও প্লাস্টিকের বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে পাশের খাইঞ্জার হাওরে। শুধু প্লাস্টিক আর পলিথিন নয়, রাবার ও কেমিক্যাল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যও গিয়ে পড়ছে হাওরের কৃষিজমিতে। বর্জ্যগুলোর কারণে হাওরের প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি পতিত হয়ে পড়েছে। কৃষক হাফেজ মিয়া বলেন, কারখানার দূষিত পানি আমাদের কৃষিজমিতে পড়ে জমির মাটি দূষিত করে ফেলছে। জমি আবাদ করতে গেলে হাত-পায়ে চর্ম, অ্যালার্জি, জ্বালাপোড়া, চুলকানিসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের। এই ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমিতে কোনো ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, কৃষক ছকিল মিয়া ও আবদুল হক বলেন, কারখানার দূষিত পানির কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের দুই ফসলি বোরো ও আমন চাষাবাদের প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি। অনেক কৃষকের একমাত্র কৃষিজমি এই হাওরে। তাই অনেক কষ্ট করে তারা জমিতে চাষাবাদ করলেও সেই জমির ধানে শীষ আসার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে কোনোভাবেই চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। কৃষক ছকিল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমিসহ অনেকেই এই হাওরে অনেক দিন ধরে চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছি। কয়েক বছর আগে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কিয়ার (বিঘা) জায়গায় ধান রোপণ করেছিলাম। পরবর্তীতে দূষিত ও ময়লা পানির কারণে সব খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছি। শিল্পনগরী কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শিরোনাম
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
বিসিকের বর্জ্য গলার কাঁটা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর