শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

দাবদাহে পানি নেই মাঠে দুশ্চিন্তায় কৃষক

মো. শামীম কাদির, জয়পুরহাট

দাবদাহে পানি নেই মাঠে দুশ্চিন্তায় কৃষক

জয়পুরহাটে বৃষ্টির দেখা নেই অনেক দিন। বৃষ্টি না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর বড় প্রভাব পড়েছে কৃষকের জমিতে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠ শুকিয়ে চৌচির। মনে হবে যেন কোনো ধু ধু চর। মাঠে পানি না থাকায় কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না। কিছু এলাকায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষ শুরু হলেও বেশির ভাগ এলাকার কৃষক রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকেই কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করেন। তবে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে গেছে পুরো মাঠ। বৃষ্টি হবে এমন আশায় পিছিয়ে পড়েছে ধানের চাষ। নির্ধারিত সময়ে চাষ শুরু করতে না পারায় চারাগুলো বীজতলাতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কৃষকদের। বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় আবার শ্যালোমেশিন চালিত গভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে। সদর উপজেলার মীরগ্রাম এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে চাষ করতে পারছি না। এ জন্য চারা রোপণের সময় অনেক পিছিয়ে পড়ছে। বীজতলায় ধানের চারাগুলোও বড় হয়ে গেছে। ঘোনাপাড়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, বৃষ্টির আশায় থাকতে থাকতে ধানের চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই শনিবার থেকে আমাদের এলাকায় ডিপ (গভীর নলকূপ) চালু করা হয়েছে। কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের গোলাম রব্বানী বলেন, অনেক দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ধান রোপণ নিয়ে অনেক দুশ্চিতাই ছিলাম। আজ থেকে ডিপ চালু হয়েছে। সেচ দিয়ে চাষ করার পর এখন ধান রোপণ করতে পারব। আক্কেলপুর  উপজেলার তিলকপুরের জাকির হোসেন সোহাগ বলেন, বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান রোপণ করতে পারছি না। বৃষ্টির আশায় আছি। বৃষ্টি হলেই রোপণ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর