অবকাঠামোগত সব সুবিধা থাকলেও জনবলসহ নানা সংকটে দিনাজপুরের সরকারি পুলহাট মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার। ৮টি পুকুর নিয়ে এই মৎস্য বীজ উপাদন খামার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর্থিক ব্যয় ও জনবল পূরণ হলেই এটি একটি আদর্শ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার হবে। ১৯৮০ সালে ৮.১০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় এই খামার। খামারে রয়েছে আম, খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের গাছও। ৮টি পুকুর আছে কিন্তু মাছ চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। মাছও নেই। রেণু পোনা উৎপাদনে অবকাঠামো রয়েছে। এখানে ৬০ কেজি মাছের রেণু উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে মা মাছ রাখার প্রয়োজনীয় ৬০০ কেজি রাখার জায়গা সংকট রয়েছে। একটি পাম্প মেশিন থাকলেও তা নষ্ট। তবে সরকারি হ্যাচারির অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। কিন্তু মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ৬টি পদ থাকলেও শুধু একজন ফার্ম ম্যানেজার রয়েছেন। এখানে নেই অফিস সহকারী, ক্ষেত্র সহকারী, পাম্প অপারেটর, অফিস সহায়ক (পিয়ন) ও নৈশপ্রহরী।
এ ব্যাপারে পুলহাট মৎস্য বীজ খামার ব্যবস্থাপক মো. খায়রুল আলম জানান, গত বছর লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং অর্জন হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা। তিনি বলেন, পুকুরগুলোতে পানি থাকে না। পানি ধরে রাখতে দৈনিক পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে, লিকেজ বন্ধ করতে হবে।
এখানে ৪টি পাম্প এবং ৪টি বোরিং করতে পারলে পুকুরে পানিসহ রেণু পোনা উৎপাদন পুরোপুরি সম্ভব হবে। এ জন্য প্রথমেই কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। জনবলের চাহিদাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
