সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আলোর মুখ দেখছে ট্রমা সেন্টার

♦ নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে ♦ ভেঙে গেছে দরজা-জানালা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

আলোর মুখ দেখছে ট্রমা সেন্টার

নির্মাণের প্রায় আট বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে হবিগঞ্জের বাহুবলে নির্মিত জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টারটি। আর এতে করে আশার সঞ্চার হয়েছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে ট্রমা সেন্টার চালু না হওয়ায় অনেক অবকাটামোই নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালার গ্লাস। বাকি রয়েছে পানির পাম্প বসানোর কাজও। তবে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ বলছে, টুকটাক যত অবকাটামোগত কাজ ছিল তার বেশির ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যতটুকু কাজ রয়ে গেছে তা দ্রুত সম্পন্ন করে ট্রমা সেন্টারটি হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জানা যায়, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১০ সালে ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালিতেই কেটে যায় আট বছর। এদিকে, দীর্ঘদিন পর হলেও একমাত্র ট্রমা সেন্টারটি চালু হওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জেলার সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, জেলার মাধবপুর থেকে নবীগঞ্জের শেষ সীমানা শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। আর এ সড়কে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আহত বা হাত-পা ভেঙে প্রতিনিয়ত সিলেট অথবা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের। কিন্তু অনেকেই টাকা-পয়সার সমস্যার কারণে যেতে পারে না। ফলে পায় না উন্নত চিকিৎসা। এখন যদি বাহুবলে ট্রমা সেন্টারটি চালু হয় তা হলে অন্তত ভালো চিকিৎসা তো পাওয়া যাবে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, তৎকালীন সময়ে অনেক কাজ বাকি রেখেই সেটি হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ বাকি থাকায় তা গ্রহণ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহেই ট্রমা সেন্টারটি হবিগঞ্জ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ খবর